(Chittagong Armoury Raid) চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা- সুখেন্দু দস্তিদার (Sukhendu Dastidar)
মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদার। অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তাঁর কাকার থেকেও। সরকারি চাকরি ছেড়ে ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তখন সুখেন্দুর বয়স ৫। ছোট থেকে দেশের কাজের প্রেরণায় তাই খামতি ছিল না সুখেন্দু দস্তিদারের।
দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদার ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী কাজের সঙ্গী। কার্যত দাদার হাত ধরেই বিপ্লবী কাজে সামিল হন কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। সুখেন্দু তখন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী। অস্ত্রাগার লুঠের অন্যতম সৈনিক হন তিনি। ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০। অস্ত্রাগার লুঠের পর চমকে ওঠে ব্রিটিশ পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়। পরদিন ধরা পড়ে যান সুখেন্দু। তাঁরই সঙ্গে ধরা পড়েন পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হিমাংশু সেন। হাসপাতালে মৃত্যু হয় হিমাংশুর।
অস্ত্রাগার মামলায় ধৃতদের তিন দফায় স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়। ১৯৩২ সালের মার্চ মাসে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের দণ্ডে আন্দামান পাঠানো হয় সুখেন্দু দস্তিদারকে (Sukhendu Dastidar)। তাঁর বয়স তখন ১৬। সুখেন্দু দস্তিদার ও মামলায় ধৃত আরও ৩ তরুণের ৫বছরের সাজার পর মুক্তির সুপারিশ করে ট্রাইব্যুনাল। অন্য ৩ জনকে ১৯৩৮ সালে মুক্তি দিলেও সুখেন্দু দস্তিদারকে জেলেই আটকে রাখে ব্রিটিশ সরকার। পরে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন সুখেন্দু দস্তিদার।
চট্টগ্রামের বিপ্লবী কাজে ধলঘাটের দস্তিদার পরিবারের অবদান অনেক। সুখেন্দুর দাদা পূর্ণেন্দু দস্তিদার অস্ত্রাগার লুঠের মামলায় (Chittagong Armoury Raid) জেল খেটেছেন। সুখেন্দুর আরেক ভাই হেমেন্দু ছিলেন জালালাবাদ সংঘর্ষের সেনানী। ভাই অর্ধেন্দু জালালাবাদের যুদ্ধে শহিদ হন। বিপ্লবের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সুখেন্দুর আরেক ভাই শরদিন্দুও।
- (Jai Hind) গোপন ডেরায় মাস্টারদার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ, পুরুষের ছদ্মবেশে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (Pritilata Waddedar) - June 25, 2023
- (Jai Bangla) বাঙালির অপমানের জবাবে বুকে রোলার তুলেছিলেন মহেন্দ্রনাথ - June 23, 2023
- (Vande Mataram) বন্দেমাতরম: বাংলার প্রথম গুপ্ত বিপ্লবী দল খুলতে সাহায্য করেছিলেন সরলা দেবী (Sarala Devi Choudhurani) - December 21, 2018