১৯৩০ সাল। আইন অমান্য আন্দোলনে তখন দেশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। স্বামী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর সঙ্গে স্ত্রী নেলিও দিল্লি, অমৃতসর নানা জায়গায় যাচ্ছেন নেলি সেনগুপ্তা। স্বামী দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন গ্রেফতার হয়েছেন। এইসময় এক নিষিদ্ধ সভায় বক্তৃতা করছিলেন নেলি সেনগুপ্তা। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ৪ মাসের জেল হয় নেলি সেনগুপ্তার।
১৮৮৬ সালে ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নেলি। বাবা ফ্রেডরিক উইলিয়াম গ্রে, মা এডিথ। কেম্ব্রিজ থেকে পাশ করেন নেলি। ততদিনে ইংল্যান্ডে ব্যারিস্টারি পড়ছেন চট্টগ্রামের যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। ১৯০৯ সালের পয়লা অগাস্ট নেলির সঙ্গে যতীন্দ্রমোহনের বিয়ে হয়। ডিসেম্বরে স্বামীর দেশে চট্টগ্রামে আসেন নেলি।
স্বামী দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। স্বামীর পথ ধরেই তাঁর দেশের শৃঙ্খলমোচনে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্ত্রী নেলি। ১৯২১ সালে অসহয়োগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। চট্টগ্রামে খদ্দর বিক্রি করেন। গ্রেফতার হন। মহাত্মা গান্ধী, সরোজিনী নাইডুর আদর্শ তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
১৯৩৩ সালে কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশনে সভানেত্রী নির্বাচিত হন নেলি সেনগুপ্তা। গ্রেফতার হন।১৯৩৩ সালে কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত অল্ডারম্যান ছিলেন । ১৯৪০ ও ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত হন আইনসভায়।
ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা নেলির স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান আজও দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। ১৯৫৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন নেলি সেনগুপ্তা।