A Bangla Blog on Kolkata, Bengal and Bengalees in Bengali

(Chittagong) চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা- রামকৃষ্ণ বিশ্বাস (Ramkrishna Biswas) - BENGALISM

(Chittagong) চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা- রামকৃষ্ণ বিশ্বাস (Ramkrishna Biswas)

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠের পরিকল্পনায় অংশ ছিলেন। কিন্তু বোমা তৈরির সময় গুরুতর আহত হয়ে আর অস্ত্রাগার লুঠে অংশ নিতে পারেননি রামকৃষ্ণ। রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। ইংরেজদের চোখের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই বিপ্লবী। তবে অস্ত্রাগার লুঠের অভিযানে না থাকলেও তাঁর নামে ৫০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ব্রিটিশ সরকার।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠের পর ব্রিটিশ পুলিশ সতর্ক হয়ে ওঠে। তখন বিপ্লবীরা এত বড় সঙ্ঘবদ্ধ অভিযান আর রূপ দিতে পারছিলেন না। ঠিক হয়, সরকারি কর্মচারী খতম করতে হবে। শুরু হয় চাঁদপুর ইন্সপেক্টর হত্যার ছক কষা। ততদিনে ঢাকা পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল লোম্যানকে গুলি করে মেরেছেন বিপ্লবীরা। তখন ঢাকা পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে আসীন ক্রেইগ। এবার ক্রেইগকে খতম করতে হবে।

সেদিন চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন ক্রেইগ। রাতের অন্ধকারে ট্রেন পৌঁছয় চাঁদপুর। এক পদস্থ পুলিশ অফিসার ট্রেন থেকে নামেন। সারি বাঁধা পুলিশ সেলাম জানায়। দুই বিপ্লবী ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরপর এগারোটা গুলি করা হয়। ভুল ভাঙে পরদিন সকালে। ক্রেইগ নিহত হননি। নিহত অফিসারের নাম তারিণী মুখোপাধ্যায়। তিনি রেল পুলিশের ইন্সপেক্টর। রাতের অন্ধকারে ঠাওর করতে পারেননি দুই বিপ্লবী।

১৯৩০ সালের ১ ডিসেম্বর চাঁদপুরের ২২ মাইল দূরে হাজিপুর স্টেশনে ধরা পড়েন বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস ও কালীপদ চক্রবর্তী। দু্’জনেই চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠের মামলায় ফেরারী।

কলকাতার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসকে ফাঁসির সাজা শোনায়। বয়স কম হওয়ায় কালীপদ চক্রবর্তীর দ্বীপান্তের সাজা হয়।

ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়ে গেছে। আলিপুর জেলে বন্দি বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ভার দেওযা হয় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে। জেল কর্তৃপক্ষকে প্রীতিলতা লিখিত আবেদনে বলেন তিনি রামকৃষ্ণের কাজিন নাম অমিতা দাস। এরপর বহুবার মৃ্ত্যুর অপেক্ষারত বিপ্লবীর সঙ্গে দেখা করেন প্রীতিলতা।


১৯৩১ সালের জুলাই মাসে ফাঁসির মঞ্চে শহিদ হন বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস।

©bengalism.com

Related posts

Leave a Reply

%d bloggers like this: